এনটিভি অনলাইনের মুকুটে ইউটিউবের পাঁচ ‘পালক’
অভিজাত বনেদি বাড়ির ড্রয়িংরুম থেকে শুরু করে গলির মুখের ছোট্ট চায়ের দোকান। ইউটিউব এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। কেউ বা হাতের স্মার্টফোনটি দিয়ে দেখে নিচ্ছেন সর্বশেষ কোনো খবর, জনপ্রিয় কোনো নাটক। কেউ বা উপভোগ করছেন জমজমাট কোনো ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ। ইউটিউব ভিডিও ক্রমে হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। আর গণমাধ্যমে ভিডিওর গুরুত্ব উপলব্ধি করে যাত্রা শুরু করা এনটিভি অনলাইনও ইউটিউবে তৈরি করেছে শক্ত অবস্থান। এনটিভি অনলাইনের ঝুলিতে জমা হচ্ছে ঈর্ষণীয় সব পুরস্কার।
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও সরবরাহকারী জনপ্রিয় ভেরিফায়েড চ্যানেলগুলোকে ‘ক্রিয়েটর রিওয়ার্ডস’ দিয়ে সম্মানিত করে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এনটিভি অনলাইন পেয়েছিল ইউটিউবের এমন দুটি পুরস্কার। এরপর নভেম্বরে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ এই গণমাধ্যমের মুকুটে যোগ হয়েছিল আরো দুটি পালক।
আর এ বছরের মার্চে এসেছে ইউটিউবের আরো একটি পুরস্কার। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এনটিভি অনলাইনের ঝুলিতে জমা হয়েছে ইউটিউবের পাঁচটি পুরস্কার।
২০১৭ সালের মে মাসে এক লাখ সাবস্ক্রাইবারের দারুণ মাইলফলক স্পর্শ করায় ‘এনটিভি নাটক’ চ্যানেলটি পেয়েছিল সিলভার প্লে বাটন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে এনটিভি অনলাইনই প্রথম পেয়েছিল ইউটিউবের এই পুরস্কার। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউটিউবের এই সিলভার প্লে বাটন আরো একবার আসে এনটিভি অনলাইনের কার্যালয়ে। এবার এই পুরস্কার পাওয়া যায় ‘এনটিভি এন্টারটেইনমেন্ট’ চ্যানেলটির কল্যাণে। এই চ্যানেলটিতেও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছুঁয়েছিল এক লাখের মাইলফলক। গত নভেম্বরে এনটিভি অনলাইন আরো দুটি সিলভার প্লে বাটন পুরস্কার পেয়েছে ‘এনটিভি লাইভ’ ও ‘এনটিভি বাংলা মুভি’ চ্যানেল দুটির বদৌলতে। এ দুটি চ্যানেলেও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা পেরিয়ে গেছে এক লাখের মাইলফলক। এবার পুরস্কার এসেছে এনটিভি চ্যানেলটির জন্য।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করে এনটিভির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এনটিভি অনলাইন। যাত্রা শুরুর সময় থেকেই ভিডিও কনটেন্টের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জনপ্রিয়তার ধারা বজায় রেখে প্রতিদিনই কয়েক হাজার করে সাবস্ক্রাইবার যোগ হচ্ছে এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে। আর দর্শকদের সেই সক্রিয় সম্পৃক্ততার ফলে এনটিভি একের পর এক পেরিয়ে চলেছে দারুণ সব মাইলফলক। এনটিভির ১৬টি চ্যানেলের সাবস্ত্রাইবার এখন ১২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো গণমাধ্যমের চেয়ে বেশি।
এনটিভি অনলাইনের মতো জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিশেষ কিছু প্লে বাটন ট্রফি দিয়ে থাকে নির্দিষ্ট মাইলফলক পেরোনোর পর। যেমন—এক লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক পেরোতে পারলে পাওয়া যায় সিলভার প্লে বাটন। পরের মাইলফলকটি আসে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারে। এ সময় ইউটিউব পাঠায় গোল্ডেন প্লে বাটন। আর এক কোটি সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক পেরোতে পারলে পাওয়া যায় ডায়মন্ড প্লে বাটন।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এখন মানুষ অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটের চেয়ে বেশি ঢুঁ মারে ইউটিউবে। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশও আছে এ তালিকায়। ২০১৬ সালে ওয়েব ট্রাফিক ডাটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যালেক্সার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে ছিল ইউটিউব। তথ্যপ্রযুক্তির এই পালাবদলের মুহূর্তটি উপলব্ধি করতে পেরে শুরু থেকেই ইউটিউবে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে এনটিভি অনলাইন।
এ প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের প্রধান খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি আমরা এনটিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল খুলি। অল্প সময়ের মধ্যেই এনটিভির সব চ্যানেল মিলিয়ে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। আমাদের চ্যানেলগুলোতে সারা বিশ্ব থেকেই মানুষ খবর ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখেন। ইউটিউবের সম্মাননা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমরা পাঁচটি সিলভার প্লে বাটন পেয়েছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে গোল্ড, ডায়মন্ড ও রুবি প্লে বাটনও পাব।’
এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে প্রধান অবদান দর্শকদের বিপুল ভালোবাসা ও আগ্রহের। আর সেটা মাথায় রেখে এনটিভিও প্রতিনিয়ত জোগান দিয়ে চলেছে গুণগত মানসম্পন্ন সব কনটেন্ট। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের আঙিনা পেরিয়ে বিশ্বের অজস্র দেশ থেকে দর্শক আগ্রহ নিয়ে এনটিভির ভিডিওগুলো দেখছেন নিয়মিত।
এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এই লিংকগুলো থেকে :