পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপরে

সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুরমা, জাদুকাটা, খাসিয়ামারা ও ছেলা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো পাঁচ উপজেলায় হাওর এলাকার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারা বাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও ছাতকের কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা পানির নিচে চলে গেছে।
সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক, দোয়ারাবাজারের সঙ্গে টেংরা টিলাসহ ছাতকের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নদীনগর-ধারারগাঁও সড়কটি এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে, গ্যাস লাইনের পাইপ বের হয়ে এসেছে। ওই এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হালদার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বৃষ্টিপাত না হলে নদীর পানি আরো কমে যাবে।’
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবজিৎ সিংহ জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কিছু গ্রাম প্লাবিত হলেও এখন পানি কমতে শুরু করেছে। তবে রোপা আমন ধানের বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।