নরসিংদীতে কারখানার ইটিপিতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নরসিংদীর পাঁচদোনায় ক্রোমা টেক্স নামের একটি ডাইং ফিনিসিং ও টেক্সটাইল মিল কারখানার বর্জ্য পরিশোধনাগারে (ইটিপি) পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল এসে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত বাছির মিয়া (১৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের তাজিম ময়ার ছেলে। তিনি ক্রোমা টেক্সের নির্মাণাধীন একটি ভবনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানের লোকজনের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের স্বজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, নিহত বাছির বেশ কয়েক মাস ধরে ক্রোমা টেক্স মিলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে আসছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাছির লিফটের পাশে কাজ করছিলেন। কাজ করা অবস্থায় হাত পিছলে ইটিপি প্লান্টের ভেতরে পড়ে যান তিনি। পরে কারখানার শ্রমিকরা তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু পানিতে অতিরিক্ত ময়লা আর গ্যাস থাকার কারণে তাঁকে খুঁজে বের করতে পারেননি। পরে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কোনো কাজ করতে পারেননি। পরে ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। নিখোঁজের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেলে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত শ্রমিকের খালু উজ্জ্বল মিয়া বলেন, লিফটের কাজ করার সময় পা পিছলে নিচে পড়ে যান বাছির মিয়া। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়নি। ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাঁর জীবন চলে যায়।
উজ্জ্বল মিয়া আরো বলেন, দুই মাস ধরে কোম্পানি থেকে বাছিরদের কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁরা বাড়ি থেকে ফোন করে টাকা এনে নিজেদের খাবারের খরচ চালাচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে ক্রোমা টেক্সের ব্যবস্থাপক শাহীন সারোয়ার বলেন, ‘ছাদ থেকে ইটিপি প্লান্টে পড়েছে না অন্য কোনোভাবে পড়েছে তা আমরা জানি না। তারপরও আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। তারা উদ্ধার করতে না পেরে ঢাকায় ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করে।’