কোটা সংস্কার : আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় সোহরাব, জাহির ও আরিফ নামের তিনজনকে আটকের কথা জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পরে বেলা পৌনে ১১টায় আন্দোলনকারীরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বের হন।
মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট চত্বরে গেলে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। ১৩ মার্চের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১৪ মার্চ সকালে সারা দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলোয় মেধায় নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। এদিকে, ঢাকার বাইরেও প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে একই কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, আগামী ১৮ মার্চ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বালন করবেন বলেও জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।