জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার কৃষক লীগ নেতা
৫৪টি ইয়াবাসহ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার মালিথাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গভীর রাতে মুলাডুলি ইক্ষু খামারের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ইয়াবাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ২০০ পিস ইয়াবাসহ ঈশ্বরদীর সাহাপুরের নতুনহাট গোলচত্বর থেকে বক্কার মালিথাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বক্কার মালিথা মুলাডুলি ইক্ষু খামারের আবাসিক কোয়ার্টারে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ১২টায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৫৪টি ইয়াবাসহ বক্কার মালিথাকে গ্রেপ্তার করে। বক্কার মালিথার বাড়ি মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর গ্রামে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বক্কার মালিথা মুলাডুলি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দাপটে ইউনিয়নজুড়ে ব্যাপক দলীয় প্রভাব বিস্তার করেন। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী। সাধারণ মানুষকে মারধর, অর্থ আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু জানান, কোনো মাদক ব্যবসায়ীর জায়গা আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনে হবে না। বক্কার মালিথার বিষয়ে এরই মধ্যেই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান মালিথা এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবু বক্কার মালিথাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। বক্কার মালিথা বর্তমানে কৃষক লীগের কেউ নন।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, বক্কার মালিথা মুলাডুলি এলাকার সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী। মুলাডুলি ইউনিয়নে তাঁর একাধিক মাদক স্পট রয়েছে। বক্কার মালিথার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।