সরকার প্রচারযুদ্ধ শুরু করেছে : বিএনপি

বর্তমান সরকার বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে ‘প্রচারযুদ্ধ’ শুরু করেছে। আর এতে কতিপয় ‘দলকানা’ গণমাধ্যম ‘শামিল’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ বুধবার বিকেলে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনগণের বৈধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রম বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রচারযুদ্ধ শুরু করেছে অবৈধ সরকার। পেট্রলবোমায় আক্রান্ত মানুষের আর্তনাদকে পুঁজি করে আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি অর্জনের আওয়ামী ভণ্ডামি জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে অনেক আগেই। কতিপয় দলকানা গণমাধ্যমে দিবানিশি অপপ্রচারের মাধ্যমে গোয়েবলসীয় কায়দায় বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতৃত্বে চলমান শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনকে কলুষিত করার হীন চক্রান্ত কখনো সফল হবে না।’
পেট্রলবোমাবাজির সাথে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাই জড়িত উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন কেবল নিয়ন্ত্রিত ও দলকানা কতিপয় মিডিয়ার বদৌলতে অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চায়।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার পিতা রক্ষী বাহিনী সৃষ্টি করে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন; অসংখ্য বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে বিনা বিচারে হত্যা করে হত্যার রাজনীতি প্রচলন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে স্বঘোষিত সম্রাট বনে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। আপনিও চলমান গণআন্দোলনকে দমন করার জন্য আপনার পেটোয়া পুলিশ-র্যাব ও বিজিবিকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে নরহত্যার নির্দেশ প্রদান করে গণতন্ত্রের শবযাত্রার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, পিতার নির্মম পরিণতির কারণ বিশ্লেষণ করুন, গণহত্যা বন্ধ করুন।’
বিবৃতিতে ‘বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করা, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ক্যাবল লাইন কেটে দিয়ে এবং সর্বশেষ খাদ্য সরবরাহ বন্ধ’ করার সমালোচনা করা হয়।
বিবৃতিতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়।