ফল নিয়ে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ২৫ নেত্রী। তবে আবারও অনুমতি না পেয়ে দেখা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার নেতৃত্বে নারী নেত্রীরা কারাফটকে আসেন।

এ সময় সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, ‘রায়ের সার্টিফায়েড কপি যদি আজকের ভেতর না পাই, তাহলে আগামীকাল থেকে কোর্ট বর্জন করবেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।’

এ সময় বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানা বলেন, ‘এই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে, জুলুম করছে, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারের ওপর জুলুম করছে। এই সরকারের পতন অনিবার্য। এর সবকিছুর প্রতিদান জনগণই একদিন দেবে।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা দলের নেত্রী সায়মা খানম, লায়লা বেগম, নূরজাহান ইয়াসমিন, রুকসানা খানম মিতু, আয়েশা সিদ্দিকা, ফরিদা ইয়াসমিন, মিতু চৌধুরী, রুনা রাজি, হুসনেয়ারা খানম প্রমুখ।

প্রায় একই সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাবন্দি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী ও এক ভ্যান ফল  নিয়ে কারাফটকে আসেন দলের তাঁর পুত্রবধূ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেক আলী বাবু। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইলেও তাঁদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা চলে যান।

এ সময় নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখানে কারাফটকে এলে পুলিশ আমাদের কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলে। এর পরে আইজি প্রিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেল সুপারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কারাগারে বাইরের খাবার নেওয়ার অনুমতি নেই। সুতরাং, আপনারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।’

খালেদা জিয়ার ওপর, তাঁর পরিবারের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তাঁর জবাব জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেবেন বলেও জানান নিপুণ রায় চৌধুরী।