বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ও কারাগারে ডিভিশন পাওয়া নিয়ে একটি মহল ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক মন্ত্রী যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সহসভাপতি অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, বিশেষ প্রেক্ষাপটে এবং জাতিকে সঠিক তথ্য পরিবেশনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি গত ১০ বছর ধরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় হয়। বিচারিক আদালতের রায়ই চূড়ান্ত রায় নয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে বিদ্যমান আইন মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, আইনের শাসন ব্যহত হোক এটা কারো কাম্য হতে পারে না।

শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যে জাতি যত বেশি আইনের শাসন প্রয়োগ করে সে জাতি তত বেশি সভ্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত নীতি হচ্ছে আইনের চোখে সবাই সমান।’

আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। তা সত্ত্বেও সামাজিক অবস্থান আমলে নিয়ে তাঁর দণ্ড বিবেচনা করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার আপিলের সুযোগ রয়েছে। বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের ওপর সবার আস্থা রাখতে হবে।

আবদুল মতিন খসরু বলেন, স্বাধীন আদালত দ্বারা খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়েছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা রায় ও কারাগারে ডিভিশন নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। তিনি বিচারিক আদালতের রায় নিয়ে আপিল করতে পারবেন।

শ ম রেজাইল করিম বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া কারা অভ্যন্তরে যে সুবিধাদি রয়েছে তা পাচ্ছেন।