শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তার ‘ঘুষ’, তদন্ত করছে দুদক
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন। পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের জানান, এরই মধ্যে ঘুষের মামলাটি দুদকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে তিনটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা স্বারক চুক্তির অনুষ্ঠান শেষে দুদকের চেয়ারম্যান জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে দুজনকে আটক করা হয়েছে, আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি, সেটা আপনাদের কল্যাণেই আমাদের কাছে এসেছে। এরইমধ্যে আমাদের তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।’
বিকেলে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম মৃধা। গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, লেক হেড স্কুলে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে স্কুলটি বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই দুই কর্মচারী অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নিয়ে স্কুল খুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আর অর্থ দেন স্কুলের মালিক খালেদ।