আইভীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলার আবেদন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক হাজারজনকে আসামি করে মামলা করতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জি এম এ ছাত্তার সদর থানায় এই আবেদন করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, আবেদনে সাবেক যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গত রাতে এ মামলার আবেদন পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আবেদন পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে হকার রাখা ও উচ্ছেদ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় হকার ও শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে মেয়র আইভীর সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন মেয়র আইভীকে পিটিয়ে ও বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে আহত হয়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন আইভী। সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে আঘাত সহ্য করে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করেন।
পরে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ওই ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর কর্মী নিয়াজুল দুই গজ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে পিস্তল উঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনার একদিন পর ১৮ জানুয়ারি নিজ কার্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন, রক্তচাপও কমে যায়। বমিও করেন। পরে তাঁকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর আজ দুপুরে হাসপাতাল থেকে আইভীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।