বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
টঙ্গীর তুরাগতীরে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। দুপুরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুমার নামাজ। জুমার নামাজে ইজতেমায় যোগদানকারী দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে অংশ নেন ঢাকা, গাজীপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি।
দুপুর দেড়টার দিকে শুরু হয় জুমার নামাজ। নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের।
জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে ইজতেমাস্থলে হাজির হন ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মুসল্লিদের ঢল। একপর্যায়ে মুসল্লিদের লাইন ইজতেমা মাঠ পেরিয়ে কামারপাড়া রোড, বাটা রোড ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ে। সড়ক-মহাসড়ক চটের বস্তা, খবরের কাগজ পলিথিন সিট বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন অনেক মুসল্লিই।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবীর, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ইজতেমাস্থলে জুমার নামাজে অংশ নেন।
এর আগে ভোরে জর্ডানের মাওলানা শেখ ওমর খতিবের বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার মূল কাজ শুরু হয়। মোনাজাতের আগপর্যন্ত তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা আখলাক, ইমান ও আমলের ওপর বয়ান পেশ করবেন।
প্রথম দিনে বাদ জুমা বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন। বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল বার ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ রবিউল হক।
আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর চার দিন পর ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আর ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।