দেশে ফেরা ১৭ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা ১৫৯ বাংলাদেশির মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৭ জনকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে রেডক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৭ জনকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে। বিচারক তাদের রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কক্সবাজার রেডক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন প্রত্যাশী ১৭ জনকে আগামীকাল দুপুরের মধ্যে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এদের মধ্যে নরসিংদীর আটজন, নারায়ণগঞ্জের পাঁচজন, চট্টগ্রামের দুজন, বাকি দুজনের বাড়ি ফরিদপুর ও বরিশালে।
এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, ফেরত আসা বাকি ১৪২ জনের নাম-ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আজকের মধ্যে শেষ হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, এদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা-মোকদ্দমা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই আইনি প্রক্রিয়াটি শেষ করে আগামীকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়ায় এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এসব অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জানিয়েছে, ১৫৯ জনের মধ্যে দেশের ১০ জেলার বাসিন্দা রয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীর ৮০ জন, নারায়ণগঞ্জের ১২ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, নওগাঁর দুজন, নাটোরের একজন, শরীয়তপুরের তিনজন ও বরিশালের একজন রয়েছে।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী।
এর মধ্যে ৮ জুন, ১৯ জুন ও ২২ জুলাই তিন দফায় দেশে ফেরত আনা হয়েছিল ৩৪২ জনকে। গতকাল ১০ আগস্ট চতুর্থ দফায় ফেরত আনা হয় আরো ১৫৯ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৫০১ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।