যুদ্ধাপরাধী আজহার-কায়সার-সুবহানের আপিল কার্যতালিকায়
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আনা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ মো. কায়সার ও মাওলানা আবদুস সুবহানের আপিল মামলা শুনানির জন্য আজ বুধবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চে আজ শুনানির জন্য মামলার কার্যতালিকায় জামায়াত নেতা আজহারের আপিল মামলা ২৯ নম্বর ক্রমিকে ও সুবহানের মামলা ৩১ নম্বর এবং জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কায়সারের আপিল মামলা ৩০ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা সুবহানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ী, সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত এই তিন আসামিই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এর পর্যন্ত ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। একটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। আরো বেশ কয়েকটি মামলা আপিলে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।