আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর থেকে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন বিএনপির প্রধান।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে শুনানি শেষে তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে দুটি আবেদন করা হয়। এগুলো হলো : যুক্তিতর্ক স্থগিত করে আত্মপক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ এবং আত্মসমর্পণ করে জামিন।
খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আদালতের দেওয়া আগের আদেশ বাতিল করে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি দেন আদালত। একই সঙ্গে এ বক্তব্য আজকের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবং দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল। দুদকের এই আইনজীবী খালেদা জিয়ার করা দুটি আবেদনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘গত ধার্য তারিখে হরতালে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি (খালেদা জিয়া) উপস্থিত হতে পারেননি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আত্মপক্ষ সমর্থনে ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারা অনুসারে বক্তব্যর জন্য আবেদন করছি।’
অন্যদিকে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন, এ মুহূর্তে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, কেননা তিনি ইতোপূর্বে বহুবার জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন।’
তবে দুদকের বিরোধিতার পরেও আদালত খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন।
এর আগে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত। একই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ বাতিল করে ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্কের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।