মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার নির্দেশ
হাইস্কুলের ধর্ম বিষয়ে সহকারী শিক্ষকদের মতো মাদ্রাসার সহকারী মৌলভীদের বেতন ভাতাসহ সব সুযোগ দিতে হবে বলে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে আদালতের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন ও মহিউদ্দিন মহিম।
রায়ের পর এ বি এম নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা দেশের প্রায় এরকম ১০ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। আদালতের রায়ের পর সবাই এখন থেকে স্কুলের শিক্ষকদের মতো বেতনসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ রিটের বিবাদী করা হয়েছিল।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, হাইস্কুলের ধর্ম বিষয়ে (কামিল পাস) সহকারী শিক্ষকরা বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান আট হাজার থেকে ১১ হাজার ১৫০ টাকা। অপরদিকে মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (কামিল পাস) পান ছয় হাজার ৪০০ থেকে নয় হাজার ৩০৫ টাকা।
একই শিক্ষা ও বোর্ডের সমমান থাকার পরেও ১৯৯৫ সাল থেকে এই বেতনের ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল। বৈষম্য নিরসন চেয়ে ২০১৫ সালে রাজবাড়ীর মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ ৭৯ জন রিট করেন। ওই রিটের শুনানি করে হাইকোর্ট কেন এই বৈষম্য দূর করা হবে না জানতে চেয়ে ওই বছরই রুল জারি করেন। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৩ সালের এনটিআরসির সার্টিফিকেট থেকে জানা যায়, হাইস্কুলের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষকদের মতো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কিন্তু এর বাস্তবায়ন ছিল না। ফলে সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করা হলে আদালত থেকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সমান সুযোগ দিয়েও সুযোগ-সুবিধা সমান বেতন একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পদমর্যাদাসম্পন্ন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী ও হাইস্কুলের ধর্ম বিষয়ে সহকারী শিক্ষকদের সমান বেতন প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী কল্যাণ সমিতি।