হত্যা মামলার আসামি ‘ছেড়ে দিয়েছেন’ ওসি, তদন্ত কমিটি
বরিশালের গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়া অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহতের মা আলেয়া বেগম জানান, কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তপন কুমার রায়কে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ করে তাঁর ছেলে পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সাকির গোমস্তা (১৮)। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার সোহেল গোমস্তা, ইমরান মীর, সুমন হাওলাদার, রিয়াজ খান, ফাহিমসহ পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে সাকিরকে পিটিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোররাতে সাকির মারা যান। সাকিরের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই তাঁর সাকিরের মা গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা করেন, যা সাকিরের মৃত্যুর পর হত্যা মামলায় পরিণত নেয়।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, আসামি ফাহিমকে মারধর করে গৌরনদী থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুউদ্দিনের কাছে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ওই দিনই তাকে ওসি মো. মনিরুল ইসলামের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সে থানা থেকে পালিয়ে গেছে। আসামি পালানোর পরে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি। তা ছাড়া ফাহিম নবম শ্রেণির ছাত্র। তার পরনে স্কুল ইউনিফর্ম থাকায় তাকে হাজতে রাখা হয়নি। যে কারণে সে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে ।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আজ আসামিদের গ্রেপ্তার প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।