বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিপু হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম অপহরণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৯ আসামি উপস্থিত ছিল। একজন ফাঁসির আসামিসহ বাকিরা পলাতক।
বাপ্পি ও সুমন নামে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সুমন বর্তমানে পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট লিপুকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করা হয়। লিপুকে ফেরত দেওয়ার জন্য অপহরণকারীরা তাঁর বাবা ওয়াহিদুল ইসলামের কাছে তিন কোটি টাকা দাবি করে। পরে লিপুর বাবা বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিপুর বন্ধু ইমন, শুভ ও রাতুলকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লিপু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি দেয় তারা।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারকাজ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত বাপ্পী ও সুমনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সুমন পলাতক রয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে ১০ বছর এবং তিনজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘ন্যায়বিচারের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’