মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ওই দুজনের।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া দুজন হলেন দুর্লভপুর গ্রামের আবদুল মোকিম (৬০) ও গোলাম রসুল ঝড়ু (৬২)।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার কামাল হোসেন। তিনি জানান, রাত পৌনে ১২টায় একসঙ্গে ওই দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে পরিবারের সদস্যরা আসামিদের সঙ্গে দেখা করেন।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার দুর্লভপুর গ্রামে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন ওই এলাকার তৎকালীন ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অহিম উদ্দীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি আবদুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়ুকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকে। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন আসামিরা। তবে সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। এর পর কারা কর্তৃপক্ষ এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়।
ফাঁসি কার্যকরের পরপরই প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাঁদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। রাতেই তাঁরা লাশ নিয়ে চলে যান।