মান্দায় কোটি টাকা নিয়ে এনজিওর তিন কর্মকর্তা উধাও!
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টারের (ভার্ক) কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তিন শাখা ব্যবস্থাপক উধাও হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তার, সতিহাট শাখার নীল রতন বর্মণ ও নিয়ামতপুর শাখার কামাল হোসেন।
গত বুধবার রাতে ওই তিন কর্মকর্তা শাখা বন্ধ করে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁজরভাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তারের ভাই সতিহাট শাখার মাঠকর্মী রাকিব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শারমিন আক্তারের ব্যবহৃত ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
ভার্ক মান্দার এরিয়া ম্যানেজার গোলাম মাওলা দাবি করেন, সংস্থার ল্যাপটপসহ নগদ প্রায় কোটি টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনজন আত্মগোপন করেছেন।
পাঁজরভাঙ্গা বাজারের নৈশপ্রহরি তাছের আলী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ভার্কের ম্যানেজার শারমিন আক্তার ও তাঁর স্বামী সাঈদ হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়া বাসা থেকে বের হওয়ার পর চৌরাস্তার মোড়ে তাদের আটক করে ওই এনজিওর লোকজন। এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হলে শারমিনের বাসা মালিক রেজাউল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বাসা মালিক রেজাউল ইসলাম জানান, হৈ চৈ শুনে চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছে দেখেন ম্যানেজার শারমিন আক্তারকে টানাহেঁচড়া করছেন সংস্থার কয়েক ব্যক্তি। এ সময় তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তিনি হেফাজতে নেন। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অফিসে বসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। এরপর থেকে ম্যানেজার শারমিন আক্তারকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
ভার্ক মান্দার এরিয়া ম্যানেজার গোলাম মাওলা জানান, সংস্থার ক্ষতি করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাখা ব্যবস্থাপকরা একসঙ্গে উধাও হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সংস্থার তিন শাখা থেকে অন্তত কোটি টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান জানান, বেসরকারি ভার্কের পক্ষে অভিযোগ পাওয়ার পর শাখা ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তারের ভাই সতিহাট শাখার মাঠকর্মী রাকিব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কথা জানান তিনি।