যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা!
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা আক্তারকে (২৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বেলাশ্বর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা আক্তার কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের বরাট গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আবদুল মান্নান মিয়ার মেয়ে এবং চান্দিনার বেলাশ্বর গ্রামের আবদুল মালেকের স্ত্রী। নাজমার নাদিয়া (৯) ও সামিয়া (৪) নামে দুটি মেয়েসন্তান আছে।
নিহতের চাচা সুলতান আহমেদ ও আবদুল করিম জানান, ১০-১২ বছর আগে নাজমার সঙ্গে মালেকের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মালেক প্রায়ই যৌতুক আনার জন্য নাজমাকে নির্যাতন করতেন। বিভিন্ন সময় তাঁরা কয়েক লাখ টাকাও দিয়েছেন। আজ সকালে অন্য একজনের ফোন থেকে নাজমার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাঁরা ছুটে যান।
নিহতের মা জানান, নাজমার তলপেটসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নাজমার স্বামীর বাড়ির এক প্রতিবেশী নারী জানান, সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে নাজমার স্বামী নিজ দোকানে যান। ৯টার দিকে নাজমার মেয়ে নাদিয়াকে স্কুলে দিয়ে বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে স্বামী এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্তে নাজমা আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।