ভৈরবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপিত
‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’- এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ২২ অক্টোবর রোববার সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের ভৈরবেও উদযাপিত হয়েছে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’। দিবসটি উদযাপনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ভৈরব উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সদস্য, পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওইসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে স্থানীয় এমপি পাইলট গার্লস হাইস্কুল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির উদ্বোধন করে বক্তব্য দেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র, বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ। প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান, ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কেএনএম জাহাঙ্গীর।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শহীদুল্লাহ কায়সার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. শহীদুল্লাহ কায়সার, দৈনিক প্রথম আলোর ভৈরব অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সুমন মোল্লা, নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির দুর্ঘটনা অনুসন্ধান গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনা একেকটি পরিবারের সারা বছরের কান্না। যাত্রী, পথচারী, চালক, কর্মচারী- কারোই রেহাই থাকে না এ দুর্ঘটনা থেকে। আর একটি দুর্ঘটনা মানেই জীবন ও সম্পদের ক্ষতি। তাই এ দুর্ঘটনারোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। একটু সচেতনতা, একটু সাবধানতা, একটু সচেতন ভাবনাই পারে এই ক্ষতির হাত থেকে জান ও মালকে রক্ষা করতে। আর এখানে কেবল একটি পক্ষ সচেতন হলেই হবে না। সম্মিলিতভাবে মালিক, চালক, পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী-সবাইকেই সচেতন হতে হবে। দুর্ঘটনারোধে সচেতন করে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীদেরও।
আলোচনা সভায় ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে নিরাপদ সড়ক চাই এবং জাতীয় সড়ক দিবসের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, ব্যানার নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে আসে।