খুলনায় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

খুলনায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যাকাণ্ডের মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ আসামিকে ওই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন মহিরবাড়ি খালপাড় এলাকার মাঈন, শাহীন, ইদ্রিস, জাহিদ ও মনির। এঁদের মধ্যে জাহিদুল ও মাঈন পলাতক রয়েছেন।
খালাশপ্রাপ্তরা হলেন ট্যারা মোস্ত, সুলতান, মনির-২, শহিদুল, আরাফাত, আলমগীর, সুলতান মিস্ত্রি, মিজান, জাকারিয়া, খলিল ও কবির।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর টুটপাড়া মহিরবাড়ি খালপাড় এলাকায় আলমগীরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী শেখ ওমর আলী বাড়ি তৈরি শুরু করেন। ২০০৩ সালে ১ জুন ওই এলাকার সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ৬ জুন চাঁদার টাকা আনতে গেলে মাঈন, শাহীন, ইদ্রিস, মনিরসহ অন্যদের সাথে ওমর আলীর ছেলেদের বাগবিতণ্ডতা হয়।
ওই দিন সন্ধ্যায় শেখ ওমর আলীর সেজ ছেলে আলমগীর হোসেন এলাকার মুদি দোকানে কেনাকাটা করতে যান। তখন সন্ত্রাসীরা আলমগীরকে ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন ভোরে বটিয়াঘাটার হরিণটানা বিল থেকে আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য কোপ ও গুলির চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনায় ৭ জুন নিহতের বাবা শেখ ওমর আলী বটিয়াঘাটা থানায় ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলী ইমরান ওই ১৬ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তবে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেননি ওমর আলী। গত বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।