অপহরণের এক মাস পর গোপালগঞ্জের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে অপহরণকারীও।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সান্টু সরদার ওরফে কালাম (৪৫)। তিনি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগধা গ্রামের বাসিন্দা।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, মূলত সান্টু ওরফে কালাম একজন প্রতারক। এর আগে তিনি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজন নারীকে বিয়ে করেন। তবে কোনো স্ত্রীর সঙ্গেই তিনি বেশিদিন থাকেননি। এভাবে নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলাটা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল বলেও দাবি করেন ওসি।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ১৫ বছরের এক কিশোরীকে এক মাস আগে পয়সারহাট স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করেন কালাম। এ ঘটনায় সান্টুসহ পাঁচজনকে আসামি করে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা। অপহরণের পর ওই কিশোরীকে ঢাকায় নিয়ে যান কালাম। সেখানে ওই কিশোরীকে নির্যাতন করা হয়।

এদিকে, প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে কালামকে ঢাকার কুড়িল এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ শনিবার তাঁদের বরিশালের আগৈলঝাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া কালামকে আগামীকাল রোববার আদালতে তোলা হবে। সেখানে যদি তিনি তাঁর অপকর্মের কথা স্বীকার করেন, তাহলে আর তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে না। তা না হলে কালামকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হবে। তবে এরই মধ্যে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কালাম এ পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে নয় নারীকে বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর বিয়ের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।