ভৈরবে পুলিশ সদস্য হত্যায় একজনের জবানবন্দি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আরিফুর রহমানের নিহতের ঘটনায় ফারুক (২৫) নামের এক যুবক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ফারুকের বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, খুন ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।
ওসি আরো জানান, কনস্টেবল আরিফ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরিফুর রহমান (২৫) নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। তিনি ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর এলাকার মরহুম ফজলুল হক করিমের ছেলে। আরিফুর ভৈরব রেলওয়ে সেতুর পাহারায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য হিসেবে ব্রিজ সংলগ্ন ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনায় আহত হন এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম মিয়া। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার রাখনগাঁও গ্রামের মহসীন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তিনি বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে পুলিশ কনস্টেবল আরিফ এগিয়ে যান। ছিনতাইকারীরা তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনস্টেবল আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন। ডালিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পুলিশ সদস্য আরিফ হত্যা এবং পথচারী ডালিম ছিনতাইয়ের শিকার ও আহতের ঘটনায় ভৈরব থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আরিফ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুতিউজ্জামান। আর ছিনতাই ঘটনার মামলাটি করেছেন ঘটনার দিন ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত পথচারী, এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম মিয়া। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভৈরব থানার এসআই মো. ওসমান গনিকে।