যুবককে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কনস্টেবল আরিফ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন ওই দুজন।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম আরিফুর রহমান (২৫)। তিনি ভৈরব রেলওয়ে সেতুসংলগ্ন ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর এলাকায়।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত আরেকজন হলেন এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম (২৩)। তাঁকে রাতেই আহত অবস্থায় বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ডালিম বাজিতপুরের রাখনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডালিম রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেঁটে ভৈরব সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে পুলিশ কনস্টেবল আরিফ সেখানে গেলে ছিনতাইকারীরা তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে যাওয়ার পর আরিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর ডালিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কে এম এন জাহাঙ্গীর জানান, নিহত পুলিশ সদস্য আরিফের বুকে দুটি ছুরির আঘাত পাওয়া গেছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। আর ডালিমের মাথা ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘নিহত পুলিশ আরিফ রেলসেতু পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। পথচারী ডালিমকে ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েই তিনি নিহত হন। আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে রাতেই লাশ জেলা পুলিশ লাইনে পাঠাই।’
ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বেশ কয়েকটি দল ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে বলে জানান ওসি।