মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড, অনিশ্চয়তায় চার শতাধিক শ্রমিক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকার আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার শতাধিক শ্রমিক অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের অ্যাসিসটেন্ট ডিজাইনার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা। এই কারখানার অর্ধ-শতাধিক শ্রমিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু এখন আমাদের বেতন বোনাস দেওয়া হয়নি। কীভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলব দুশ্চিন্তায় আছি। এ ছাড়া কারখানা কবে খুলবে এবং আমাদের পাওনা বেতন-বোনাস কবে দেওয়া হবে তাও অজানা।’
কারখানার রোটারি মেশিন অপারেটর আবদুল লতিফ বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই কারখানায় কাজ করে আসছি। কিন্তু আগুন লাগার পর থেকে কারখানা বন্ধ আছে। দুশ্চিন্তায় আছি কবে খুলবে, কবে বেতন পাব- তাও জানি না। কারখানার ছয়জন কর্মকর্তা থানায় আছে। কারখানা খুললে হয়তো বেতন-বোনাসের ব্যাপারে জানা যাবে।’
আইডিয়াল টেক্সটাইলের ডাইং ফিনিশার প্রদীপ দে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল এবং থানাতে ঘুরাঘুরি করে চলেছি। ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলে আমারা পরিবার নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকব। এর ওপর নির্ভর করেই আমার পরিবার চলে আসছিল। কিন্তু এখন আমার পাশাপাশি চার শতাধিক শ্রমিকও দুশ্চিন্তায় আছে।’
কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম শওকত আলম মজুমদার জানান, কারখানা বন্ধ করা হয়নি। তদন্ত করতে আলামত সংগ্রহের জন্য সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার তদন্ত কমিটি সরেজমিনে কারখানা ঘুরে বিস্তারিত জানাবে। এরপর বলা যাবে কবে খুলবে।
তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করছি। কারখানা খুলে দেওয়ার আগে তা শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কি না,তা খতিয়ে দেখা হবে। শ্রমিকদের ব্যাপারটিও আমাদের দেখতে হবে।’