ছয় কর্মকর্তা আটক, তদন্ত কমিটি গঠন
মুন্সীগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে আগুন লাগার ঘটনায় ওই কারখানার মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার মুক্তারপুর বিসিক এলাকায় আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ডে ছয় শ্রমিক নিহত হন। টেক্সটাইল মিলের পাঁচতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড হয়। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও নারায়ণগঞ্জের দুটি ইউনিট মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ইস্রাফিল (২৩), সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাদাতগঞ্জের নাজমুল (২২), সিরাজগঞ্জ জেলার বড়মাথা থানার বাবু মিয়া (২২), ঝিনাইদাহের কালিগঞ্জের সজিব (২৩), মনিকগঞ্জ জেলা ঘিওরের রতন মিয়া (২২) এবং বরগুনা জেলার বাবনা থানার চারাখালি গ্রামের হাসিনা (৫০)।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলের জিএম খিদির সারমাসহ ছয় কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে জেলা প্রশাসক নিহত শ্রমিকদের দাফন করার জন্য প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সায়লা ফারজানা বলেন, ‘ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলম মজুমদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্ত করে ওই মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছয় শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ দিকে ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম উদ্ধার অভিযানে কাজ করেছে। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের দুটি ইউনিট ও নারায়ণগঞ্জের দুইটি ইউনিট কাজ করেছে।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, সকাল ১০টার দিকে টোলপ্লাজা এলাকার আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে নিচতলায় ওয়াল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে গোডাউনে কেমিক্যাল পদার্থর ওপর লাগলে ওই স্থান থেকেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।