শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ভৈরবে মানববন্ধন
সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে এক সঙ্গে জাতীয়করণের দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানববন্ধন করেছেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, ভৈরব উপজেলা শাখার শিক্ষকরা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড়ে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ওই মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষকরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার তিন শতাংশ বাস্তবায়ন করেন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আর ৯৭ শতাংশই বাস্তবায়িত হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি ও সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার এমন বৈষম্যমূলক স্তর অগ্রহণযোগ্য-যা বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার বুঝতে পেরেছে। যেজন্য সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের দাবি, খণ্ড খণ্ড নয়-দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে জাতীয়কারণ করা হোক।
এ ছাড়াও ওই কর্মসূচি থেকে বৈশাখীভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ননএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি করারও দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
এ সময় শিক্ষকরা আরো বলেন, শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে সেই মেরুদণ্ড বিনির্মাতা শিক্ষকসমাজকে অবহেলা করে, উন্নয়নের মূলস্রোতধারার বাইরে রেখে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন প্রত্যাশা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই তাদের ন্যায়সঙ্গত এই দাবি সরকার অবিলম্বে মেনে নেবেন বলেও আশা করেন।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, ভৈরব শাখার সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ মাদ্রাসা ইউনিটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলহাজ মাওলানা কাজী জহিরুল ইসলাম, সহসভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন, মো. নাছির উদ্দিন, মাওলানা কে এম তৌহিদুল ইসলাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের ভৈরব শাখার সহসভাপতি দীপক সাহা, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাফর হোসেন।
এই সময় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন প্রভাষক হাবিবুর রহমান, আবদুর রউফ, মোস্তাফিজুর রহমান, কাজী জাফর হোসেন, নাছির উদ্দিন, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।