সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু দিয়ে অটোরিকশা পারাপারের দাবি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ওপর দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় এলাকায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকসহ কয়েকশ যাত্রী সাধারণ অংশ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মেঘনার দুই পাড়ে অবস্থিত ভৈরব-আশুগঞ্জের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আবহমানকাল থেকে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণের আগে বহু বিড়ম্বনায় নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করত। সেতু নির্মাণের পর যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করার পর এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা আসে। নিত্য নতুন পণ্য আদান-প্রদান ও কেনাবেচা হতে থাকে দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ক্রমঅগ্রসরমান হয় দুই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই।
কিন্তু গত ১২ জুন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা যানজটমুক্ত করার অজুহাতে সেতুর ওপর দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সিদ্ধান্ত সাময়িক বিবেচনায় তখন ব্যবসায়ীরা সেটি মেনেও নেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের তিন মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ যান চলাচল বন্ধ রাখায় এখানকার ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে ধস। তাই বাধ্য হয়ে তারা আজ রাস্তায় নেমেছে বলে জানায়।
ব্যবসায়ীরা বলে, বিষয়টি অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুবিবেচনায় না নিলে ভৈরব ও আশুগঞ্জের শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
এ সময় বক্তব্য দেন ভৈরব ফলের আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হান, অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. দুলাল মিয়াসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাউসার জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মহাসড়কসহ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ওপর দিয়ে থ্রি-হুইলারসহ সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষেধ রয়েছে। তাই আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।