নারায়ণগঞ্জে ডোবা থেকে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে শাহরিয়াজ মাহমুদ নামের এক নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ভুঁইগড় এলাকা থেকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রোববার সকালে সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত লাশটি শনাক্ত করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
শাহরিয়াজ ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কামাল সিদ্দিকির ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের বিবিএ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহত শাহরিয়াজ তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় । তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় একটি দৈনক পত্রিকার অনলাইন শাখার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শাহরিয়াজের কোন শত্রু ছিল না। তবে কী কারণে ও কারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহরিয়াজ শুক্রবার ভোরে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। সেদিন সকালে তাঁর বাবা মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়ার পর ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা কামাল সিদ্দিকি দুপুরে ফতুল্লা থানায় একটি জিডি করেন।
শনিবার সকালেই ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশের একটি ডোবা থেকে এক অজ্ঞাত তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রোববার সকালে নিখোঁজ শাহরিয়াজের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতলের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিহত শাহরিয়াজের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত অনুযায়ী ধারনা করা হচ্ছে, তাঁকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান ,অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।