প্রবাসীদের কটাক্ষ, কবি শাহরিয়ারের স্ট্যাটাসে সমালোচনার ঝড়

প্রবাসীদের কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারজয়ী কবি। গত রোববার নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি প্রবাসীদের ‘স্বদেশত্যাগী’ আখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। আর এরপরই ফেসবুকজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
নিজের ছবি দিয়ে অঙ্গুলী নির্দেশ করে লেখা ওই স্ট্যাটাসে কবি শাহরিয়ার লেখেন, ‘বাপু হে, ইন্টারনেটের যুগে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। প্রবাসে বসে বাঙালকে হাইকোর্ট চিনিও না। কথায় কথায় রেমিট্যান্সের গল্প কেন শোনাও? বিদেশিদের জুতো পালিশ করতে গেছ; সেই কাজটাই মন দিয়ে কর। আয়-উপার্জন আরো বেশি হবে। ওই উদ্দেশ্যেই তো স্বদেশের মায়া ত্যাগ করেছ। তবে আর দেশের জন্য মায়াকান্না কেন?’
তাঁর এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর অনেকেই সেখানে তাঁর এই কথার প্রতিবাদ করেন। অনেকে আবার স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট নিয়ে নিজেদের ওয়ালে শেয়ার দিয়ে এর প্রতিবাদ করেন।
এরপর কবি শাহরিয়ার প্রবাসীদের নিয়ে আরো একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রবাসে জীবনযাপনকারী স্বদেশত্যাগীদের, যারা দেশের মানুষকে নানা কিসিমের ছবক দেয়, তারা মাকাল ফলের উত্তরাধুনিক সংস্করণ।’
কবি শাহরিয়ারের এই স্ট্যাটাস নিয়েও তুমুল সমালোচনা হয়। প্রবাসীদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজে তাঁর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু এতে একেবারেই না দমে ‘রুখো বজ্জাত, হটাও ইতর’ শিরোনামে লেখা স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘স্বদেশত্যাগীরা সামান্যই রেমিট্যান্স পাঠায়, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি টাকা আসে রপ্তানি খাত থেকে। যাঁরা দেশের টানে দেশেই থাকেন, তাঁরাও ট্যাক্স-ভ্যাট দেন রেমিট্যান্সের চেয়ে বেশি। রেমিট্যান্সের বড়াই করে দেশের মানুষকে হেয় করলে একটা বজ্জাত প্রবাসীকেও আর কোনোদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা ফেলতে দেবেন না। সব প্রবাসী নন, এমন বজ্জাত গুটিকয়। এরা ইতরভাষী। এরা বিদেশি প্রভুর দাসত্বের মোহে স্বদেশবাসীকে কুকুর-বেড়াল ভাবে।’
তাঁর এসব স্ট্যাটাসে অনেকেই প্রতিবাদ জানান। তাঁর এক সাবেক সহকর্মী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনি কবি শাহরিয়ারকে ফোন করে তাঁর এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে ওই সব প্রতিবাদ তাঁর বক্তব্যকে দমাতে পারেনি। যার প্রতিফলন দেখা গেছে পরদিন সোমবার দেওয়া তাঁর স্ট্যাটাসে।
সোমবারের বিকেলের স্ট্যাটাসে কবি শাহরিয়ার লেখেন, ‘প্রবাসী জুতা পালিশঅলারা আমাকে ইতরদের ভাষায় গালিগালাজ করছে, গালোয়াজি স্ট্যাটাস দিচ্ছে। কারণ, চিরতরে স্বদেশত্যাগ করে বিদেশিদের জুতো পালিশ করছে বলে আমি ওদের সমালোচনা করেছি। স্বদেশে অবহেলায় পড়ে থাকা মায়ের আর্তনাদ ওরা শুনতে না পেলেও আমার সমালোচনা কানে গিয়েছে, এতেই আমি খুশি। কিন্তু, গালিগালাজ দেওয়ায় ওদেরই মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে বলে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছি। শেষমেশ না জুতো পলিশের চাকরিটাও হারায়।’
সোমবার রাতে দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “বৃদ্ধ বাবা-মাকে মৃত্যুর হাতে সঁপে দিয়ে চিরতরে স্বদেশত্যাগী হওয়ার সমালোচনা করায় জনাকয়েক প্রবাসী ইতরভাষী আমাকে মোটা বেতনে তাদের বাড়ির বাসন মোছার চাকর রাখতে চেয়েছে। আমি যে টাকার লোভে স্বদেশত্যাগী হব না এবং কথিত ‘মোটা বেতনে’র চেয়ে বেশি বেতনে দেশেই তাদের গাড়ি মোছার চাকরি দিতে পারি, সেই ধারণা তাদের নেই। বেচারারা দেশের সবাইকে নিজেদের মতো মিসকিন ভাবে। তবু, বড় দুশ্চিন্তায় আছি এই ভেবে যে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়ায় ওদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে বলে ওরা না শেষমেশ জুতো পালিশের চাকরিটাও হারায়।”
সোমবারে লেখা এ দুটি স্ট্যাটাসে তিনি একটি ফুটনোট জুড়ে দিয়েছিলেন। যাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘যারা দেশে ফিরে আসার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে গেছেন, আমার এই পোস্ট পড়ে তারা আহত হবেন না যেন। ফেরারি জঙ্গি-খুনি-ধর্ষক কিংবা ইতরভাষী না হলে প্রবাসীদের আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি।’
একই দিন ‘কাকরাইল মোড়ের সেই পাগলটা’ শিরোনামের পোস্টে লেখেন, ‘মূঢ়দের সঙ্গে তর্ক না করার পরামর্শ দিয়েছেন মহামুনি রবীন্দ্রনাথ। করি না তো। নিজের স্ট্যাটাসে সত্য বলার চেষ্টা করি। কোনো কোনো স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় মূঢ়ের দল নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে তর্কে মাতে কিংবা গালিগালাজের নোংরা তুবড়ি ছোটায়। মানে, নিজের গু নিজের মুখেই মাখে। দেখেশুনে কাকরাইল মোড়ে গু-হাতে দাঁড়িয়ে থাকা সেই দিগম্বর পাগলটার কথা মনে পড়ে যায়। জাতে পাগল তালে ব্ল্যাকমেইলার। একবার গণধোলাই খেয়েছিল বেদম। তারপর সারা জীবনের জন্য ভালো হয়ে যায়। রাজমণি প্রেক্ষাগৃহের সামনে জুতা পলিশ করতে দেখেছি কিছুদিন। কোনো পেশাকেই ছোট করে দেখতে নেই। দেখি না। তবে, বৃদ্ধ বাবা-মাকে মৃত্যুর হাতে সঁপে দিয়ে বিদেশে গিয়ে জুতা পলিশ করার চেয়ে দেশে বেকার থাকাও ভালো। নিজের গু নিজের মুখে মাখার চেয়ে কাকরাইল মোড়ে গু-হাতে দাঁড়িয়ে থাকা পাগলটাও ছিল শ্রেয়।’
আবু হাসান শাহরিয়ারের এ স্ট্যাটাসগুলোতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকেই। প্রবাসীদের পেজগুলোতে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই গালিগালাজও করছেন এই কবিকে।
মঙ্গলবার রাতে প্রবাসীদের নিয়ে লেখা পোস্টগুলো আর কবির ওয়ালে দেখা যায়নি। তবে ততক্ষণে অনেকেই তাঁর লেখার স্ক্রিনশটগুলো নিয়ে নিয়েছেন। আর ওই স্ক্রিনশট আপলোড করে কবির এই মনোবৃত্তির সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী নাট্যনির্মাতা নূর উদ্দীন মুরাদ লিখেছেন, ‘আবু হাসান শাহরিয়ার! বিস্মিত হলাম আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে। একজন মানুষের বিবেক থাকা প্রয়োজন, কথা বলায় সীমাবদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। আপনার জিহ্বা আছে বলেই সে জিহ্বাকে অপব্যবহার করে যা ইচ্ছে তাই বলে যাবেন—এ কেমন কথা?’
‘যাদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন, বিদেশিদের জুতা পলিশ করতে গেছে! সেসব মানুষদের কষ্টার্জিত ঘামের পয়সায় রাস্তায় চেটাং চেটাং করে হাঁটেন। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রেমিট্যান্স না হলে অনেক আগেই আপনি আবু হাসান শাহরিয়ার দুর্ভিক্ষে রাস্তায় রাস্তায় মরতেন। দুঃখ হয় আপনার মতো মানুষদের জন্য, যাঁরা সামান্য স্বার্থে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের এত ত্যাগ, এত অবদান অস্বীকার করেন এবং প্রবাসীদের নামে বিরূপ মন্তব্য করেন।’ তিনি অবিলম্বে কবি শাহরিয়ারকে প্রবাসীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান।
প্রবাসী সাংবাদিক আবু সাঈদ আহমেদ লিখেছেন, “আবু হাসান শাহরিয়ারের বক্তব্য নিয়ে প্রবাসী ও দেশের বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়েছি। তাঁকে অতিমূল্যায়ন না করে তাঁর পাল্লাতেই মাপুন। মূলত, দেশে যে চাটামির সাংবাদিকতা আর দলবাজির সাহিত্য করেছেন তাতে কোনো কারণে প্রবাসী হতে হলে তাঁকে ‘আবু হাসান শাহরিয়ার : দ্য বুটপলিশওয়ালা’ই হওয়া লাগবে। যদিও প্রবাসে নিজের জুজা সবাই নিজেই পলিশ করেন, তাতে কি! আবু হাসান শাহরিয়ার আর তাঁর মুরিদকুল বুট পলিশের একটা না একটা ব্যবস্থা বের করে নেবেন, চাটামির দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই।”
আবু সাঈদ আহমেদ আরো লেখেন, ‘প্রবাসী ভাই ও বন্ধুদের আবু হাসান শাহরিয়ারের কথাকে পাত্তা দেওয়ার কোনো যুক্তি দেখি না। কারণ, চাটামি করতে করতে এর বোধবুদ্ধি এতই নিচে নেমে গেছে যে তিনি প্রবাসে বুট পলিশওয়ালা খুঁজে পেয়েছেন সেটাও আবার ইন্টারনেট সার্চ করে। আবু হাসান শাহরিয়ারের মতো তথাকথিত দলবাজ সাহিত্যিক কাম মোসাহেব সাংবাদিক জুতো পালিশকে হেয় করেন ঈর্ষা থেকে। তিনিও জানেন চাটামি অপেক্ষা জুতা পলিশ অনেক সম্মানজনক পেশা। আর সেটা থেকে যে আয় আসে তা দেশের ও দশের কাজে লাগে। এই প্রবাসী জুতা পলিশ (যদিও জুতা পলিশ নয়, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত) ওয়ালারা দেশের সম্পদ, আবু হাসান শাহরিয়ারের মতো বোঝা নন।’
শাহাদাত আহমেদ বিক্রমপুরী নামে সৌদি আরব প্রবাসী এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আবু হাসান শাহরিয়ার নামের এই উগ্র মস্তিষ্কের পাগল আবার বাংলা একাডেমির পুরস্কারও পাইছে। যার মন এত কুৎসিত, সে কেমনে কবি হয়?’
আরেক প্রবাসী সবুজ রানা লেখেন, ‘আবু হাসান শাহরিয়ার সাংবাদিক, কবি হয়েছে কিন্তু মানুষ হতে পারেনি, আমি একদম বলে দিতে পারি সে অমানুষ।’
মোহাম্মদ শহীদুল আলম নামে এক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী লিখেছেন, ‘আবু হাসান শাহরিয়ার সাহেবকে যদি এই মুহূর্তে ইউএস এম্বাসি থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনার ভিসা রেডি, নিয়ে যান। তাহলে আমার বিশ্বাস জন্মদিনের পোশাকেই দৌড় দেবেন দূতাবাসের উদ্দেশে।’
সৌদি আরবে প্রবাসীদের টেলিভিশন ‘বাংলা ইউ টিভি’র পেজে লেখা হয়েছে, ‘কথায় কথায় রেমিট্যান্সের গল্প কেন শোনাও? বিদেশিদের জুতা পালিশ করতে গেছো; সেই কাজটা মন দিয়ে করো।’ প্রবাসীদের উদ্দেশ্য করে আবু হাসান শাহরিয়ার, এডিটর : দৈনিক আমাদের সময়।
বাপু হে, হাসান শাহরিয়ার মুখ যত বড় নয় তত বড় কথা বলিস কেন? দেশকে ভালোবাসি বলেই দেশের জন্য এত মায়াকান্না। দেশের জন্য আমাদের এই আত্মত্যাগ। তোদের মতে অসাধু কলম ব্যবসায়ীদের জন্য দেশের তেরোটা বেজেছে।’
ওই পেজে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ওই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবু হাসান শাহরিয়ারকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
মোমেন মনি নামে আরেক প্রবাসী লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় আবু হাসান শাহরিয়ার ঠিক কথাই বলেছেন, প্রবাসে এক কোটি কামলা আছেন। এঁদের মতামতের কী মূল্য আছে? না ঘরকা না ঘাটকা? নাই ভোটাধিকার বা পরিচয়পত্র। দেশেও তাঁরা প্রবাসী, বিমানবন্দরে গিয়ে গলাধাক্কা খায় এবং বাইরে আসার সময়ও খায়। আমরা শ্রম বিক্রি করে সৎভাবে উপার্জন করছি, ওনাদের মতো ভোংগা মেরে চলি না, এ জ্ঞানীদের এ বোঝার ক্ষমতা নেই। মূল কথা সৎ উপার্জনকে শ্রদ্ধা করেন না। আমাদের ধর্মের মহাগুরু আরবের সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ মেষ চরানোর কাজ করেছেন। উনি কাজ করে খেতে বলেছেন, এ কথা কি উনি জানেন না?’
শুধু প্রবাসীরাই নয়, কবি শাহরিয়ারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশ ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনও।
ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা (ইউসিএফ) কলেজ অব মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সেজান মাহামুদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের একজন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার প্রবাসীদের কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে তাদেরকে দেশের জন্যে দরদ না দেখানোর নসিহত করেছেন। আমি বহুদিন থেকে একটি শ্রেণির সঙ্গে তর্কে লিপ্ত আছি যারা দেশের বাইরে আসাকে নানাভাবে দেশপ্রেমের প্রতিপক্ষ বানিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা খোঁজেন। আমি এদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে, উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম যে আসুন তাত্ত্বিক দিক থেকে বিতর্ক করি, দেখি দেশপ্রেম কী এবং এর সঙ্গে দেশে থাকা না থাকার সম্পর্ক কী? আসুন, তা পর্যালোচনা করি। এখন যেখানে দেশপ্রেমকে একটা সংস্কার হিসেবে দেখেন পৃথিবীর বড় বড় তাত্ত্বিক, সেখানে এইসব গণ্ডমূর্খের দল মান্ধাতার আমলের ধারণা নিয়ে কাব্যচর্চা, জ্ঞানচর্চার ভান করেন।’
কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক নতুন দেশ পত্রিকার সম্পাদক সওগাত আলী সাগর স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘তিনি একজন কবি! প্রবাসীদের প্রতি এই কবির উপদেশ!’
সংগীতশিল্পী ও গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গি লিখেছেন, ‘কবিতার যা বাজার, তার চেয়ে এসব লিখে যদি কিছু লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। মাফ করে দেন...।’
কবি ও সাবেক আমলা আখতার হোসেন লিখেছেন, ‘একদিন তিনি জুতার ওপরে দেখতে শিখবেন। জানার কোনো শেষ নেই, তিনিও জানবেন।’
সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, ‘এটা কোনো কথা! বলেন? মানুষের প্রতি কতটা অসম্মান পোষণ করলে এমন বলা যায়?’
সাংবাদিক আশরাফুল আলম লিখেছেন, ‘এই ভদ্রলোককে বহু আগেই আনফলো করেছি। মিথ্যা অহমিকা ও অন্যদের প্রতি অশ্রদ্ধা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য। ওনার সুমতি হোক, এই প্রার্থনা।’
ঢাকা জজকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম লিখেছেন, ‘এ তো দ্যাখছি বেয়াদপ লোক! ব্যর্থ ও হতাশ কিংবা নেশাগ্রস্ত কিছু লোক আছে, তারাই এভাবে সম্মানিত বা ভালো কিছুকে কিংবা অন্যের সাফল্যকে সহ্য করতে না পেরে, তাঁদের হীন দ্যাখাবার চেষ্টা করে কিন্তু নিজে বড় হবার জন্য বা আত্মোন্নয়নের জন্য কিছু করে না অথবা করার যোগ্যতা রাখে না।’