‘স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক করায় ইমনকে খুন করেন অমিত’
স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় বন্ধু ইমনকে অমিত মুহুরী খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যার পর ড্রামে ভরে লাশ পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অমিত মুহুরী ও তাঁর সহযোগী শিশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
আজ সোমবার বিকেলে সিএমপি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এম এম মোস্তাইন হোসেন। এ সময় উপকমিশনার গোয়েন্দা (বন্দর) মো. শহীদুল্লাহ ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বক্তব্য দেন।
সিএমপি জানায়, গত ১৩ আগস্ট চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার রানির দিঘী থেকে ড্রামভর্তি লাশ উদ্ধারের পর অমিতের সহযোগী শিশিরকে আটক করে পুলিশ। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রধান আসামি অমিত মুহুরীকে ঈদের দিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানি হবে বলে জানায় পুলিশ।
সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এম এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, অমিত মুহুরী একজন সিএমপির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁরা রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করেন। অপরাধ করে দলীয় পরিচয়ে পার পেয়ে যাবে, এমন সুযোগ নেই। অমিতের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ইমন হত্যা মামলায় জড়িত আরো চার-পাঁচজন সন্ত্রাসীকে খুঁজছে পুলিশ।
উপকমিশনার গোয়েন্দা (বন্দর) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ঈদের দিন কুমিল্লার একটি মাদকাসক্ত কেন্দ্র থেকে অমিত মুহুরীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ইমনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করে অমিত। ইমনকে হত্যার পর লাশটি ড্রামে ভর্তি করে। ঘটনার দুদিন পর লাশটি গন্ধ বের হলে পাশের রানীর দিঘীতে ফেলে দেওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো, জসিম উদ্দিন জানান, কোতোয়ালি থানায় দেড় শতাধিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর মধ্যে দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে। এর মধ্যে অমিত মুহুরীর নাম রয়েছে। আরেকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে বলে জানান ওসি।
অমিত মুহুরী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অন্যতম সহযোগী বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে হেলাল আকবর বলেন, চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকায় তাঁর ও অমিতের বাড়ি। খুন করে ব্যক্তিগত অপরাধ করেছেন অমিত। এর সঙ্গে যুবলীগকে জড়ানো ঠিক হবে না। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে তিনি অমিতের শাস্তি দাবি করেন।