ভৈরবে নৌকাডুবিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে অনুদান
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আগানগরে নৌকা ডুবে নিহত দুই ইটভাটা শ্রমিকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাসের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে এই অনুদান দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা আহমেদ তাঁর কার্যালয়ে নিহত দুই শ্রমিক গোবিন্দ চন্দ্র পাহানের বড় ভাই যমুনা চন্দ্র পাহান এবং অরুণ ব্যানার্জির বড় ভাই শ্যামল ব্যানার্জির হাতে ২০ হাজার করে টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল তুলে দেন।
এ সময় ভৈরব ইটভাটা মালিক সমিতির সহসভাপতি আবদুল আজিজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ও ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি আলহাজ রিয়াজ আহম্মেদ মারুকী শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে ভৈরব ইটভাটা মালিক সমিতি পক্ষ থেকেও নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদানসহ বাড়ি পর্যন্ত লাশ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দেওয়া হয়। ভৈরব ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ রিয়াজ আহম্মেদ মারুকী শাহীন এই তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে এটি একটি সাধারণ নৌ-দুর্ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় এবং নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ দুপুরে সাধারণ ডায়েরির (জিডি) মাধ্যমে তাদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।
গত শনিবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটার ১০ জন শ্রমিকবাহী একটি খেয়া নৌকা ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল ঢেউয়ে ডুবে যায়। এতে আট শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও গোবিন্দ চন্দ্র পাহান (৩৫) ও অরুণ চন্দ্র ব্যানার্জি (২৮) নামের দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়। ঘটনার দুদিন পর আজ সকালে দুর্ঘটনার অদূরে টুকচানপুর এলাকায় তাদের লাশ ভেসে ওঠে। এলাকাবাসীর খবরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
নিহত গোবিন্দ চন্দ্র পাহান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চান্দাশ গ্রামের শরৎ চন্দ্র পাহানের এবং অরুণ ব্যানার্জি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টাউন শ্রীপুর গ্রামের অমল ব্যানার্জির ছেলে। ভাইদের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোবিন্দ চন্দ্র পাহানের বড় ভাই যমুনা চন্দ্র পাহান এবং অরুণ ব্যানার্জির বড় ভাই শ্যামল ব্যানার্জি আজ সকালে ভৈরবে ছুটে আসেন।