চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার ৬০ গ্রামে কাল ঈদ
চট্টগ্রামের সাত উপজেলার প্রায় ৬০ গ্রামের নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষ আগামীকাল শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখিল দরবার শরিফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অতীতের মতো এবারও একদিন আগে কোরবানি দিচ্ছেন। দরবার শরিফের মুরিদরা রোজা পালন এবং ঈদুল ফিতরও একদিন আগে উদযাপন করেন।
মির্জাখিল দরবার শরীফের মুখপাত্র ও মির্জাখিল উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী জানান, মির্জাখিলের প্রায় পুরো গ্রামের মানুষ শুক্রবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় এবং কোরবানি দেবেন। প্রায় ২০০ বছর ধরে মির্জাখিল দরবার শরিফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। যেসব এলাকায় দরবার শরিফের মুরিদ বেশি রয়েছেন তারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করবেন। আর যেখানে দরবার শরিফের ভক্ত কম সেসব এলাকার মুরিদরা মির্জাখিল দরবার শরিফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
জানা যায়, মির্জারখিল দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ জাঁহাগীর হজরত শেখুল আরেফীন প্রায় ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে তারাবির নামাজ আদায়, রোজা পালন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় দিবস পালন শুরু করেন। এরপর থেকে তাঁর খলিফা ও মুরিদরা একই নিয়মে ঈদুল আজহাসহ অন্যান্য দিবস পালন করে আসছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাহ জাঁহাগীর হযরত তাজুল আরেফীনের বড় ছেলে ড. হজরত মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজ পড়াবেন বলে জানা গেছে।
দরবার শরিফ সূত্রমতে, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখিল, চরতি, সুইপুরা, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, পুরানগড়, গাটিয়াডেঙ্গা, মার্দাশা, রূপনগর, আলীনগর, সাতকানিয়া সদর; চন্দনাইশ উপজেলার বরকল, কেশুয়া, চর বরমা, হাশিমপুর, দোহাজারী, হাছনদণ্ডী, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ সদর, কাঞ্চননগর, পূর্ব হারালা; বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি, চাম্বল, ডোংরা, কালিপুর, শেখেরখিল, ছনুয়া, ভাদালিয়া, বড়ঘোনা; লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি, আধুনগর, চাকফিরানী, আমিরাবাদ, পুঁটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া; আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, খাসহামা, কাটাখালী এবং বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের সাত উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামীকাল ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি দেবেন।