ভিক্ষুককে শ্বাসরোধে হত্যা
ভোলা সদর উপজেলার মুছাকান্দি গ্রামের একটি সুপারিগাছের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজ শনিবার রিনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রিনা বেগমের স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। রিনা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের পাইলট গ্রামের মো. মনিরের স্ত্রী।
নিহত রিনা বেগমের মা সাবিহা বেগম জানান, রিনা দুই সন্তান নিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। ঈদের দিন রাতে ভিক্ষা শেষে তাঁর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে রিনাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন।
মুছাকান্দি গ্রামের লোকজন জানান, আজ সকালে গ্রামের লক্ষ্মীর চর সুপারিবাগানের একটি সুপারিগাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রিনার লাশ দেখা যায়। এ সময় তাঁর হাত ও পা বাঁধা ছিল। পরে গ্রামবাসী ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে এসে লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সাবিহা বেগম অভিযোগ করেন, রিনার স্বামী মনির প্রায় সময় তাঁকে মারধর করতেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনির জড়িত থাকতে পারেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবাশ্বের আলী জানান, দুই সন্তানের জননী রিনা বেগমকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গলায় ওড়নার দাগ রয়েছে।