ভৈরবে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধে সমাবেশ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে কয়েকজন বক্তা বলেন, কিছুদিন ধরে লোকমুখে ও ফেসবুকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নামে টিকেট কালোবাজারিসহ স্টেশনে হকার-শ্রমিকদের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কে বা কারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তা জানা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ নামধারী বা দলটির কোনো নেতাকর্মী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বক্তারা আরো বলেন, টিকেট কালোবাজারি থেকে জনগণকে মুক্ত করতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে টিকেট কালোবাজারি বন্ধ। যারা এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের জন্য এটাই শেষ সুযোগ। এর পর থেকে আর কেউ এই কাজ করে রেহাই পাবে না।
সমাবেশের আয়োজকরা ভৈরব স্টেশনে বিরতি দেওয়া আন্তনগর ট্রেনগুলোতে আসনসংখ্যা ও টিকেটের পরিমাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তাঁদের দাবি, ভৈরবে আসনসংখ্যার চেয়ে তিন গুণ বেশি যাত্রী হয়। তাই যাত্রীরা স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে ভ্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিষয়টির সুরাহার জন্য তাঁরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা মো. সোলায়মান, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মনসুর, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার অমৃত লাল দাস, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক জাকির হোসেন কাজল, রেলওয়ের উচ্চমান সহকারী কিশোর নারায়ণ চৌধুরী প্রমুখ।