‘কুশখালী সীমান্তে মুকুল হত্যায় বিএসএফ জড়িত নয়’
সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে রাখাল মুকুল সরদারকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হত্যা করেনি বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খলিলুর রহমান।
আজ সোমবার দুপুরে বিজিবির সাতক্ষীরার ৩৮ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংকালে খলিলুর রহমান এ কথা বলেন।
গত ১১ জুলাই সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে মুকুল সরদারের লাশ পাওয়া যায়। ওই প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফ তাঁকে হত্যা করেনি। কোনো সামাজিক রাজনৈতিক অথবা শত্রুতাবশত মুকুল দেশের অভ্যন্তরে খুন হয়ে থাকতে পারেন।’
বিজিবি কর্মকর্তা আরো বলেন, মুকুল যদি ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে থাকেন তাহলে সে দেশের রাখালদের সাথে বিরোধের জেরে খুন হলেও হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে বিএসএফকে জড়িয়ে কিছু কিছু গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে আরো কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উল্লেখ করে কর্নেল খলিলুর রহমান বলেন, বিজিবির প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অবৈধভাবে ভারতে না গেলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। তবে এসবের পেছনে যারা জড়িত রয়েছে বিজিবি তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সীমান্তকে অধিকতর চোরাচালান প্রবণ এলাকা উল্লেখ করে বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, জনগণের সহায়তা পেলে সীমান্তের সব ধরনের অপরাধ শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব। বিজিবির কড়াকড়ির কারণে সাতক্ষীরা সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক পাচার বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় জনগণ ও সংবাদকর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন।
প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকসি ও উপ-অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল ।
ভারতে অবৈধভাবে গরু আনতে যাওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সেক্টর কমান্ডার বলেন, বিএসএফ যেমন তাদের ছাড় দেবে না তেমনি বিজিবিও তাদের আইনের আওতায় আনতে প্রস্তুত। অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে কেউ লাশ হয়ে ফিরে আসুক বিজিবি তা চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।