উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবক খুনে কিশোর গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মো. রমজান মিয়া হত্যা মামলায় আসিফ (১৪) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চণ্ডিবের এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আসিফ শহরের চণ্ডিবের দক্ষিণ এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৮ জুন বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের মুজিব সরকারের ছেলে মো. রমজান মিয়া (২০) বন্ধুদের সঙ্গে ভৈরবের মেঘনা নদীর তীরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই এলাকায় হাঁটাহাঁটির সময় কয়েকজন বখাটে তরুণীদের উত্ত্যক্ত করছিল। রমজান ও তার বন্ধুরা এগিয়ে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করে। এ সময় বখাটেরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই বখাটেদের সঙ্গে আরো কয়েকজন এসে যোগ দিয়ে তাদের মারধর করতে থাকে। এ সময় তার বন্ধুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে রমজানকে একা পেয়ে বখাটেরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ওই হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর ২ জুলাই বিকেলে রাজু নামের এক যুবক দুই বন্ধুকে নিয়ে আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর পাড়ে সড়ক সেতুতে বেড়াতে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকরী তাদের তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাজু তার ফোনটি ছিনতাইকারীদের হাত থেকে কেড়ে আনতে একজনকে জাপটে ধরে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসিফ ঘটনা দুটি দেখেছে বললেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে। তবে অধিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড দুটির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তাঁর ধারণা। আসিফকে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।