সহযোগীদের নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ঝালকাঠিতে সহযোগীদের নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ বজলুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর হাওলাদার। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বাবুল তালুকদার, বেল্লাল মৃধা ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছোট ভাই সোনা হওলাদার। তাঁদের মধ্যে বাবুল তালুকদার কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজাপুরের বদরপুর গ্রামের আঁখিকে (২৫) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন চরইন্দ্রপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার। এ ঘটনায় ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে ঝালকাঠির আদালতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে জাহাঙ্গীর তাঁকে বিয়ে করলে তিনি মামলা তুলে নেন।
এর পর তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। পুনরায় তাদের মধ্যে কলহের জেরে ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী আঁখিকে রাজাপুরের মঠবাড়ি গ্রামে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। এরপর সেখানকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে নিয়ে জাহাঙ্গীর এবং তাঁর তিন সহযোগী তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। এ ঘটনায় আঁখির মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হানিফ সিকদার ২০০৯ সালের ১২ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় খালাস পাওয়া বাবুল তালুকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।