বিএনপি পালিয়ে যাওয়ার দল নয় : সোহেল
কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। বরং জনগণের সঙ্গে বেইমানি করে পালিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের আঁতাতের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৮৬ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং ২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন গংদের সঙ্গে রাতের আঁধারে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আরো বলেন, আগামীতে সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নিশ্চিত ভরাডুবি ঘটবে এটা আঁচ করতে পেরেই আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়নসহ বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি আমিরুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন খান নয়ন, রুহুল হুসাইন, অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ও রুহুল আমিন আকিল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসরাঈল মিয়া, নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক।
এ ছাড়া বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভা শেষে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়নের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।