গম কেলেঙ্কারি :পুঠিয়ার খাদ্য কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা খাদ্যগুদামে মালিকবিহীন অবস্থায় আটক হওয়া ১২৮ বস্তা গম কেলেঙ্কারির ঘটনায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। গম কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের পর গতকাল বুধবার বিকেলে ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
পুঠিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর দ্বিতীয় দফায় পুঠিয়া খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ২৮ টাকা কেজিদরে প্রায় ৫২৪ মেট্রিক টন গম কেনা হয়। গত ৩০ জুন ওই গম কেনা অভিযান শেষ হয়।
নিয়ম অনুসারে তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে গম সংগ্রহের নিদের্শনা থাকলেও খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সহায়তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই সেই গম সরবরাহ করেন। ফলে ওই নেতারা নিম্নমানের গম সরবরাহ করেন। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে শফিকুল ইসলাম ১২৮ বস্তা নিম্নমানের গম গুদামের ভেতরে রাখলেও সেগুলো খাতায় জমা না করে ফেলে রাখেন।
এদিকে গত ১ জুলাই বিকেলে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি খোন্দকার ফরহাদ আহমদ খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে গিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ১২৮ বস্তা গম আটক করেন। এরপর তিনি বিষয়টি তদন্ত করে খাদ্য বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা গত ২ জুলাই রাতে জব্দকৃত গমের বস্তাগুলো গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলেন।
পরবর্তী সময়ে জেলা খাদ্য বিভাগের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে বুধবার বিকেলে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে খাদ্য বিভাগের একাধিক সূত্র।
যোগাযোগ করা হলে শফিকুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে জানান।
পুঠিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গম নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁকে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।’