অর্থ আত্মসাতের মামলা : চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ আসামি ৬
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্ধকোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়ায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম রেজা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছয়জনের নামে লোহাগড়া থানায় দুটি মামলা করেন। এ মামলায় উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনি ও ঠিকাদার পরিমল কুমার ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলজিইডির অধীনে অনগ্রসর উপজেলার জন্য বিশেষ থোক বরাদ্দ উপখাত থেকে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চাচই ওয়াপদা থেকে কালনা সড়ক মেরামতে ৭৮ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬৯ টাকা টাকা উপবরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দের আংশিক কাজ না করে ওই বছরের (২০১৬) ২৬ জুন আসামিরা বিল উত্তোলন করে নেন। এখানে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া চাচই সিডি থেকে কালনা সড়ক উন্নয়নে ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪২৯ টাকা উপবরাদ্দ করা হয়। এখানেও আংশিক কাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে দুই লাখ ৫৫ হাজার ১৮৪ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ মে লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে চাচই সিডি এলাকা থেকে কালনা সড়ক উন্নয়নে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপবরাদ্দ করা হয়। এ টাকা আংশিক কাজ না করে ওই বছরের ২৬ জুন আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পাঁচ লাখ আট হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনটি উন্নয়নকাজে ১১ লাখ ৪৬৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্রসহ ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৩ লাখ আত্মসাতের অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, তৎকালীন ইউএনও সেলিম রেজা এবং লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনির নামে লোহাগড়া থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।