ছিটমহলের জমির রেকর্ড সন্ধানের কাজ বুধবার থেকে শুরু
এবার ভারত ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলগুলোর জমির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে উভয় দেশের সরকার। এরই অংশ হিসেবে ‘ভূমি সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে’র সম্মেলন কক্ষে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে আগামীকাল বুধবার থেকে ছিটমহলের জমির পুরনো রেকর্ড সন্ধান করার কাজ শুরু হবে। ভারত ও বাংলাদেশের যেসব জেলা বা থানার অধীনে ছিটমহল আছে সেসব ভূমি অফিসে এসব রেকর্ড খোঁজা হবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের প্রধান রংপুরের জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উভয় দেশে থাকা জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। ১৯১২ সাল থেকেই আমরা উভয় পক্ষ নিজ নিজ দেশে থাকা ভূমি রেকর্ডের নথিপত্রগুলো ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করব যে, সেগুলো বর্তমানে কোন অবস্থায় আছে। এরপর পুরোপুরি প্রতিবেদন তৈরি করে রেকর্ড সংক্রান্ত নথিগুলো উভয় দেশের মধ্যে বিনিময় করা হবে। আর এই সন্ধান করার কাজটি শেষ হবে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে। উভয় দেশের ছিটমহলগুলোতে নতুন করে ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না বৈঠকে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা উভয় দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম আবু হোরায়রা, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুল আলম, পাটগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) টি এম এ মোমিন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শরিফুল হক, পাটগ্রামের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শরিফুল হক এবং নীলফামারী সদরের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ফাইজুর বারী।
অন্যদিকে ভারতীয় দলটির নেতৃত্ব দেন কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক ও ভূমি সংস্কার কর্মকর্তা সঞ্জয় কে আর দাস। দলটিতে আরো ছিলেন কোচবিহারের ডব্লিউবিসিএস দেবাশীষ চ্যাটার্জি, কোচবিহারের দিনহাটার ভূমি রাজস্ব অফিসার পল্লব কে আর মুখার্জি এবং ভূমি কর্মকর্তা অমিত সংকর দাস মজুমদার, অরিজিত ঘোষ ও দেবাশীষ মুখার্জি।