পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন
পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে কমপক্ষে ৩০টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করে কয়েকশ পরিবার। এদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিতে জেলা প্রশাসন বার বার উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর বর্ষার আগে থেকেই পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে জেলা প্রশাসন। এ উদ্যোগে সাড়া না মেলায় আজ থেকে পুনরায় অভিযান শুরু করা হয়। সাম্প্রতিক বর্ষণে যেকোনো সময় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কাউকে বসবাস করতে দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসের একটা সম্ভাবনা থাকে। তাই পাহাড়ের ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য গতকাল থেকে মাইকিং করা হয়েছে। অনেকেই ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে চলে সরে গেছেন।
মাসুদুর রহমান বলেন, মাইকিংয়ের পরেও যারা ঝুকিপূর্ণ এলাকা ছাড়েনি আজ সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ও ঢলের পানিতে ডুবে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দেয়াল ধসে একজন নিহত হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ সালের ১১ জুন একদিনের পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে মারা যায় ১২৭ জন।