ভৈরবে সালিসে ভাইসহ সাংবাদিকের ওপর হামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জমি নিয়ে সালিসের সময় স্থানীয় এক সাংবাদিক ও তাঁর বড় ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে অপরপক্ষের লোকজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক ও তাঁর বড় ভাইকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁ দর ঢাকায় পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে এ ঘটনায় আহতদের বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামি বরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের সন্তানদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বাড়িতে এক সালিস দরবার বসে। সালিসে আবদুল কাদিরের বড় ছেলে আবদুস সাত্তারের পক্ষে আসা দরবারি এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে বরজু মিয়া (৫০) অপর ভাইদের ওপর রায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। দৈনিক আমাদের কণ্ঠের ভৈরব প্রতিনিধি আশরাফুল আলমের বড় ভাই মজিবুর রহমান এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় বরজু ও তাঁর সমর্থকরা মজিবুরের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। আশরাফুল ভাইকে বাঁচাতে গেলে তিনিও হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিকের বাবা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এতে বরজু মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার পর গতকাল রাতে বরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার তাঁকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভৈরবে কর্মরত বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে আশরাফুল আলমের ওপর হামলাকারী সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।