ভাইয়ের বউকে আটকে কোপাল চার ভাশুর
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে আটকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দেউলকাঠি গ্রামে মুক্তা বেগম (৩০) নামের ওই গৃহবধূকে তাঁর চার ভাশুর মিলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছেন বলে জানিয়েছেন আহত নারীর স্বজনরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই মাস আগে স্বামী মিজু খানের সঙ্গে ঢাকায় চলে যান মুক্তা বেগম। মঙ্গলবার সকালে মুক্তা বেগম ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এ সময় ঋণের টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মুক্তার বাকবিতণ্ডা হয়।
এর পর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুক্তার ভাশুর দুলাল খান, নজরুল খান, সিরাজ খান ও আকবর খান ঘরের ভেতরে তাঁকে আটকে রাখেন। রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুক্তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন তাঁরা।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই মুক্তার মা সাফিয়া বেগম ও খালা গোলেনুর বেগম ওই বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তার মা সাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ঢাকা থেকে আসার পর চার ভাশুর মিলে ঘরে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করে। এরপর তার মাথায় কোপানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমের খবর পেয়ে আমরা মুক্তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় মামলা করব।’
তবে মুক্তার ভাশুর আকবর খান বলেন, ‘মুক্তা স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। ঋণের টাকা পরিশোধ না করেই ঢাকায় চলে যায় সে। সেই টাকা আমরা পরিশোধ করি। সে আসার পর টাকা চাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এ সময় সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিব রহমান জানান, মুক্তা বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুক্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এদিকে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ পেলেই এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।