রূপগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধার : পাঁচ আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার বিকেলে পাঁচ আসামিকে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান প্রত্যেক আসামির আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটক পাঁচজনসহ মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ধারার আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল, শাহীন ওরফে সানা, রাসেল, শান্ত, মুরাদ ও কাতারে পালিয়ে থাকা হৃদয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হৃদয় মাছ ধরতে গিয়ে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরের লেক থেকে একটি ব্যাগ পায়। এ ব্যাগে বেশ কয়েকটি এসএমজি ছিল বলে তিনি শরিফুলকে জানান। এরপর শরিফুল, শাহীন, রাসেল, শান্ত, হৃদয় ও মুরাদ এসব অস্ত্র নিজেরা ভাগাভাগি করে নেয় এবং বিক্রির চেষ্টা করতে থাকে। এসব আসামির হেফাজত থেকে আটটি অস্ত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি শরিফুলের বাসা থেকে, দুটি শরিফুল, শাহীন ও শান্তর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্বাচলের ৩ নম্বর সেক্টরের বন্ধু সিটি থেকে এবং রাসেলের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পাঁচটি এসএমজি গতকাল বিকেলে ভোলাব ইউনিয়নের বাসুদা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, যেহেতু অস্ত্রগুলো আসামিদের হেফাজতে ছিল এবং তারা এগুলো বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখেছিল এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। পুরো অস্ত্রের চালানের ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। তবে এই মামলার সূত্র ধরেই পুরো অস্ত্রের চালানের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাব। মামলার পলাতক আসামি কাতারে অবস্থানকারী হৃদয়কেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে রূপগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় পুলিশ রূপগঞ্জের পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরের একটি খালে ডুবিয়ে রাখা ২১টি ব্যাগে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ১২ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।