সাভারে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার
সাভারে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যক্তিরা জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর সহায়তায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সাভার থেকে দুজন এবং লক্ষ্ণীপুর জেলার রায়পুর থানা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন, মো. মনির হোসেন ওরফে সুমন, মো. তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিনকে ও মো. কামাল হোসেন। এদের মধ্যে মনির হোসেন ও তৌহিদুল ইসলামকে সাভার এবং কামাল হোসেনকে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মনির হোসেন ওরফে সুমন নব্য জেএমবির বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চুর সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল। এই আইয়ুব বাচ্চু বেশ কিছু দিন ধরে সিলেটে অবস্থান করেছিল। কিন্তু সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের পর বাচ্চু, মনিরের সহযোগিতায় সাভারে একটি বাসা ভাড়া নেয়। আর সাভারের অভিযানের আগেই আইয়ুব বাচ্চু সেখান থেকে সাংগঠনিক কাজে বাইরে চলে যায়। বর্তমানে আইয়ুব বাচ্চু পলাতক।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, কামাল নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য হাসানের সহায়তায় ফিটকারী কারখানা ও সেলুনের প্রসাধনী ব্যবসার আড়ালে নব্য জেএমবির জন্য বিস্ফোরক ও অর্থ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিল।
গত ২৭ ও ২৮ মে সাভারের মধ্য গেন্ডা এলাকা থেকে সাতটি গ্রেনেড, তিনটি সুইসাইডাল বেল্ট এবং বিপুল বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। আর ওই মামলাতেই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মনিরুল ইসলাম।