কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা, দোকান মালিক গ্রেপ্তার
গাজীপুরে টঙ্গীর খাঁপাড়ার মোল্লাবাড়ী এলাকায় এক শিশু কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দোকান মালিককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম তমাল (১৩)। সে শেরপুর সদরের তিরশা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। তমাল টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার আহসান উল্লাহর টাইলসের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত।
গ্রেপ্তার দোকান মালিকের নাম মো. আহসান উল্লাহ (৩২)। এ ঘটনায় নিহত তমালের বন্ধু নাজমুল মিয়াকে (১৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
নিহতের ভাই বাবু মিয়া জানান, স্থানীয় বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে তমাল উত্তর আউচপাড়া এলাকার আহসান উল্লাহর টাইলসের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সে বাসায় ফিরত। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকেও সে বাসায় না ফেরায় তার মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কিন্তু কেউ রিসিভ করছিল না।
পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে তমালের বন্ধু নাজমুল ও দোকান মালিক আহসান উল্লাহ খবর দেয়, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লার নির্মাণাধীন ভবনের এক কোনায় অচেতন অবস্থায় তমাল পড়ে আছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনরা গিয়ে তমালকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, স্থানীয় গার্মেন্টকর্মী রাসেল নিহত তমালের বন্ধু ছিল। কয়েক দিন আগে টাকা লেনদেন নিয়ে তমাল ও রাসেলের মধ্যে ঝগড়া হয়, সেদিন তমাল লাঠি দিয়ে রাসেলের মাথায় আঘাত করে। এর পর থেকেই রাসেল দলবল নিয়ে একাধিকবার তমালকে খোঁজাখুঁজি করে। গতকাল রাতে রাসেল তার দল নিয়ে তমালকে একা পেয়ে মাথায় আঘাত ফেলে রেখে চলে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতেই তমালের মা হুজুরা বেগম বাদী হয়ে দোকান মালিক আহসান উল্লাহকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছিদ্দিকুর রহমান জানান, তমালের লাশ টঙ্গী হাসপাতালে রয়েছে। তার মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।