চট্টগ্রামে পানির নিচে সড়ক, দিনভর দুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার চট্টগ্রাম পড়েছে জলাবদ্ধতার কবলে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নগরীজুড়ে শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। এরপর আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চলা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়।
টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নসহ নানা কারণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে না।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোরায় ১৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল শুরু হওয়া বৃষ্টিতে আজ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকাল পর্যন্ত ২২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টিতে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সপ্রেস রোড, বহদ্দারহাট বাকলিয়া, শান্তিবাগ এলাকা, মৌসুমী আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ ছোটপুল ও বড়পুল এলাকায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোমর পর্যন্ত পানি ছিল। আজ বিকেল পর্যন্ত এসব এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি দেখা যায়।
জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান বলেন, গতকাল চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় মোরা। এতে গতকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঝড়ে কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীরতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা কারণে নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এতে করে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সমস্যা নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মৌসুমে নগরবাসী এর সুফল পাবেন।